:হ্যালো,ফোন উঠাচ্ছনা কেন?
:আমি টিউশনিতে আছি।
:ছাত্র না ছাত্রী?
:ছাত্রী,তামান্না।
:কেন ছাত্রী পড়াইতেছ?তোমার কথা জানে?ওকে আমার কথা বল এখনি।
:আজব তো,ছাত্রীকে আমি গণিত পড়াচ্ছি,প্রেমবিদ্যা না যে তোমার কথা বলব!!
সাহেদ ফোনটা রেখে দিয়ে সাইলেন্ট করে রাখল।সুইস অফ করেও রাখতে পারছেনা জেরিনের কথা ভেবে।
জেরিনের সাথে সাহেদের দুই বছরের রিলেশন।মান অভিমানের সম্পর্কে বেশিরভাগ সময় সাহেদই কম্প্রোমাইজ করে।
গ্রাম থেকে পড়াশুনার জন্য হঠাৎই শহরে আসা।বাসার অবস্থা ভাল না।টুকটাক টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাতে হয়।শহরে নতুন এসে টিউশনি পাওয়া অত সোজানা।আর যে টিউশনি পেয়েছে তা একটা মেয়ের্।প্রেমিকার দাবি এই টিউশনি ছেড়ে দিতে হবে।
মেয়েদের মন যে,এত সন্দেহপ্রবণ তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।এই টিউশনি ছেড়ে দিলে সে কিভাবে চলবে।ভালই বিপদে পড়েছে।
এরপর আরো কিছুদিন কেটে আছে।সাহেদ এর সাথে জেরিনের সম্পর্কটা খারাপ হতে হতে চরমে।জেরিন এবার ভালই বেকে বসেছে।হয় প্রাইভেট ছাড়বে নাহলে জেরিনকে ছাড়তে হবে।কি করবে ও বুঝতে পারছেনা।
তামান্নার টিউশনি ছেড়ে দিবে বলে ভাবছে।কিন্তু তামান্নার সামনে এসএসসি পরীক্ষা।এতদিন পড়িয়ে বাদ দিলে ওরাই কি ভাববে।
কি ভাবে ভাবুক।এত দিনের প্রেমের জন্য তো একটু আধটু ছাড়তেই হবে।কিন্তু সামনে ফরমফিলাফ।মেসের ও দুমাস ভাড়া বাকি।এবার বাসা থেকেই কিছু টাকা আনতে হবে।এইভেবে বাসায় ফোন দিল সে।অনেকক্ষণ রিং হবার পর ছোটবোনটা ধরল।
:কিরে কেমন আছিস?
:ভাল নাই ভাইয়া।
:কি হইছরে আপু?
:আব্বুর হাপানির টান খুব বাড়ছেরে ভাইয়া।ইনহেলার টাও শেষ হয়ে গেছে।
:একটা ইনহেলার কিনে নিতে বল।
:ভাইয়া তোকে তো বলাই হয়নাই,আব্বুর দোকানে চুরি হইছে।রাতের বেলা হাপানির টানে বাড়ি আসছে তখনি চুরি হইছে।
:আমাকে বলিসনাই কেন?
:আম্মু নিষেধ করছিল,তোর পড়ার ক্ষতি হবে।
এরপর বাড়ি থেকে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।এদিকে প্রাইভেট নতুন খোজারও সময় নাই। সামনে পরীক্ষা।বাধ্য হয়েই আগের টিউশনিতে গেল।সেখান থেকেই দুমাসের অগ্রীম টাকা নিয়ে ফর্মফিলাফ করল।জেরিনকে বোঝান গেলনা।ও ফোনকরা বন্ধ করে দিল।পরীক্ষা চলছিল।আর বাবার কথা ভেবে পড়ায় মনোযোগ দিল।পরিক্ষা শেষ হলে জেরিনকে গ্রামে গিয়ে বোঝান যাবে।
একমাস পর পর দুইদিনের জন্য বাড়িতে গেল।ছোটবোন এগিয় এসে ঘরে ডেকে নিয়ে বলল,
:ভাইয়া তোর জন্য একটা চিঠি আছে।
:আচ্ছা পড়ে পড়ব আগে জেরিনদের বাসায় গিয়ে ওকে বিকালবেলা নদীরপাড়ে নিয়ে আসবি,যা বলে আয়।
:ভাইয়া চিঠিটা জেরিন আপুই দিছে।
:তুই বলে আয় আগে।
:আজকে ওর গায়ে হলুদ ভাইয়া।ওর বাবা দুবাই প্রবাসীর সাথে বিয়ে ঠিক করেছে।বিয়ে হলে ওরা দুবাই চলে যাবে।
সাহেদ চিঠিটা পড়া শুরু করল,
"শাহেদ আমাকে ক্ষমা কর্।তুমি আমাকে অনেক ভালবাস আমি জানি।তোমার একটু বেশি ভালবাসা পাবার জন্যই আমার অভিমান ছিল।আমার কিছু করার ছিলনা।বাবার দুবার হার্ট এটাকের পর আমাকে জোড় পুর্বক বিয়ে দেয়া হচ্ছে।অবশ্য আমি তোমার ভবিষ্যৎ আর বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি না বলতে পারিনি।তোমার কোন দোষ নেই।ভাল থেক আর ভাল করে পড়াশুনা কর্।আর পাড়লে ক্ষমা করে দিও"
সাহেদ বিকেল আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।এই পৃথিবী সাহেদদের জন্যনা।ছেড়া স্বপ্ন আর অভিমানগুলাকে অনেক মিস করবে এটা ভাবতেই সাহেদের চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল।
- Collected
:আমি টিউশনিতে আছি।
:ছাত্র না ছাত্রী?
:ছাত্রী,তামান্না।
:কেন ছাত্রী পড়াইতেছ?তোমার কথা জানে?ওকে আমার কথা বল এখনি।
:আজব তো,ছাত্রীকে আমি গণিত পড়াচ্ছি,প্রেমবিদ্যা না যে তোমার কথা বলব!!
সাহেদ ফোনটা রেখে দিয়ে সাইলেন্ট করে রাখল।সুইস অফ করেও রাখতে পারছেনা জেরিনের কথা ভেবে।
জেরিনের সাথে সাহেদের দুই বছরের রিলেশন।মান অভিমানের সম্পর্কে বেশিরভাগ সময় সাহেদই কম্প্রোমাইজ করে।
গ্রাম থেকে পড়াশুনার জন্য হঠাৎই শহরে আসা।বাসার অবস্থা ভাল না।টুকটাক টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাতে হয়।শহরে নতুন এসে টিউশনি পাওয়া অত সোজানা।আর যে টিউশনি পেয়েছে তা একটা মেয়ের্।প্রেমিকার দাবি এই টিউশনি ছেড়ে দিতে হবে।
মেয়েদের মন যে,এত সন্দেহপ্রবণ তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।এই টিউশনি ছেড়ে দিলে সে কিভাবে চলবে।ভালই বিপদে পড়েছে।
এরপর আরো কিছুদিন কেটে আছে।সাহেদ এর সাথে জেরিনের সম্পর্কটা খারাপ হতে হতে চরমে।জেরিন এবার ভালই বেকে বসেছে।হয় প্রাইভেট ছাড়বে নাহলে জেরিনকে ছাড়তে হবে।কি করবে ও বুঝতে পারছেনা।
তামান্নার টিউশনি ছেড়ে দিবে বলে ভাবছে।কিন্তু তামান্নার সামনে এসএসসি পরীক্ষা।এতদিন পড়িয়ে বাদ দিলে ওরাই কি ভাববে।
কি ভাবে ভাবুক।এত দিনের প্রেমের জন্য তো একটু আধটু ছাড়তেই হবে।কিন্তু সামনে ফরমফিলাফ।মেসের ও দুমাস ভাড়া বাকি।এবার বাসা থেকেই কিছু টাকা আনতে হবে।এইভেবে বাসায় ফোন দিল সে।অনেকক্ষণ রিং হবার পর ছোটবোনটা ধরল।
:কিরে কেমন আছিস?
:ভাল নাই ভাইয়া।
:কি হইছরে আপু?
:আব্বুর হাপানির টান খুব বাড়ছেরে ভাইয়া।ইনহেলার টাও শেষ হয়ে গেছে।
:একটা ইনহেলার কিনে নিতে বল।
:ভাইয়া তোকে তো বলাই হয়নাই,আব্বুর দোকানে চুরি হইছে।রাতের বেলা হাপানির টানে বাড়ি আসছে তখনি চুরি হইছে।
:আমাকে বলিসনাই কেন?
:আম্মু নিষেধ করছিল,তোর পড়ার ক্ষতি হবে।
এরপর বাড়ি থেকে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।এদিকে প্রাইভেট নতুন খোজারও সময় নাই। সামনে পরীক্ষা।বাধ্য হয়েই আগের টিউশনিতে গেল।সেখান থেকেই দুমাসের অগ্রীম টাকা নিয়ে ফর্মফিলাফ করল।জেরিনকে বোঝান গেলনা।ও ফোনকরা বন্ধ করে দিল।পরীক্ষা চলছিল।আর বাবার কথা ভেবে পড়ায় মনোযোগ দিল।পরিক্ষা শেষ হলে জেরিনকে গ্রামে গিয়ে বোঝান যাবে।
একমাস পর পর দুইদিনের জন্য বাড়িতে গেল।ছোটবোন এগিয় এসে ঘরে ডেকে নিয়ে বলল,
:ভাইয়া তোর জন্য একটা চিঠি আছে।
:আচ্ছা পড়ে পড়ব আগে জেরিনদের বাসায় গিয়ে ওকে বিকালবেলা নদীরপাড়ে নিয়ে আসবি,যা বলে আয়।
:ভাইয়া চিঠিটা জেরিন আপুই দিছে।
:তুই বলে আয় আগে।
:আজকে ওর গায়ে হলুদ ভাইয়া।ওর বাবা দুবাই প্রবাসীর সাথে বিয়ে ঠিক করেছে।বিয়ে হলে ওরা দুবাই চলে যাবে।
সাহেদ চিঠিটা পড়া শুরু করল,
"শাহেদ আমাকে ক্ষমা কর্।তুমি আমাকে অনেক ভালবাস আমি জানি।তোমার একটু বেশি ভালবাসা পাবার জন্যই আমার অভিমান ছিল।আমার কিছু করার ছিলনা।বাবার দুবার হার্ট এটাকের পর আমাকে জোড় পুর্বক বিয়ে দেয়া হচ্ছে।অবশ্য আমি তোমার ভবিষ্যৎ আর বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি না বলতে পারিনি।তোমার কোন দোষ নেই।ভাল থেক আর ভাল করে পড়াশুনা কর্।আর পাড়লে ক্ষমা করে দিও"
সাহেদ বিকেল আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।এই পৃথিবী সাহেদদের জন্যনা।ছেড়া স্বপ্ন আর অভিমানগুলাকে অনেক মিস করবে এটা ভাবতেই সাহেদের চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল।
- Collected